গুঁড়া দুধের উপর নির্ভরশীলতা পরিহার করতে হবে মায়েদের
গুড়া দুধ যেভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় তাতে,ব্যাকটেরিয়া অক্ষত অবস্থায় থাকে বলে বিশেষঞ্জ রা মত পোষন করেন।পরবর্তিতে এই ব্যাকটেরিয়া মিশ্রিত দুধ সেবনে শিশুরা টাইফয়েড ও ম্যানেনজাইটিস সহ জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।রাজধানীর আগারগাও আইডিবি ভবনে আয়োজিত,”নিরাপদ পুস্টিকর খাদ্য রক্ষা করে শিশুদের জীবন”শীর্ষক এক কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের মহাসচিব শিশু বিশেষঞ্জ অধ্যাপক ডাঃ সুফিয়া খাতুন এই তথ্য প্রকাশ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাপি গুঁড়াদুধ সহ অন্যান্য শিশু খাদ্য নিয়ে ব্যপক গবেষনা চালিয়েছে।গুড়া দুধ যেভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়,তাতে ব্যাকটেরিয়া মারা যায় না।এইসব দুধে ই-সাকাজাকি ও সালমোনেলা নামের ব্যাকটেরিয়া থাকার প্রমান পায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।গুড়া দুধ শিশুদের জন্য মারাত্নক ঝুকিপুর্ন এবং এই দুধ সেবনে টাইফয়েড,ম্যানেনজাইটিস,নিউমোনিয়া ও পুষ্টহীনতার কারনে জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি।এমনকি অনেক শিশু মারাও যায়।ধুমপান যেমন স্বস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর,তা সিগারেটের গায়ে লেখা থাকে,তেমনি গুড়া দুধের কৌটার গায়ে”এই দুধ জীবানুমুক্ত নয়”বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গুড়া দুধ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকারীদেরকে কৌটার গায়ে শিশুদের জীবন রক্ষার্থে উক্ত বিষয়টা লেখার জন্য সুপারিশ করেছিল।তবে এই সুপারিশ আজও কোন দেশই বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
জন্মের পরে আমাদের অনেক মা বুকের দুধ খাওয়াই না।পরিবর্তে গুড়া দুধ খাওয়ায়।ফলশ্রতিতে শিশু অপুস্টির শিকার হয়।জন্মের পর কিছুদিন বুকের দুধ অতপর একই ভাবে গুড়া দুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন অনেক মা।এতেও শিশুর স্বাস্থ্যের করুন অবস্থা হয়।অপুষ্টিজনিত কারনে কংকালসার হয়ে পড়ে শিশু।
মায়ের দুধ খাওয়ানকে পবিত্র কোরআনে ওয়াজিব বলা হয়েছে।মা হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস সহ যেকোন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত থাকলেও বুকের দুধ সম্পুর্ন নিরাপদ।তাই মায়েরা বিকল্প শিশু খাদ্য পরিহার করেন,সেই প্রচারনা চালানর জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।