আমার বিয়ে
আমার বিয়ের ঘটনাটা চমৎকার।মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম।কিন্তু পায়ে বেড়ি দেওয়ার জন্য যে বাড়ি থেকে তোড়-জোড় করছে,এটা বুঝতে পারতাম।অবশেষে,মেয়ে দেখতে যাওয়া শুরু হল।বড় দুলাভাই আর আমি,প্রায় প্রতিদিনই দুলাভাইয়ের মটর সাইকেল নিয়ে বের হতাম.মেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্য।যতটা না মেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্য তার চেয়ে,খাওয়ার লোভেই বেশি যেতাম।
আমার বড় ভাই বিয়ে করেছে,যশোর সদরের মনোহরপুর ইউনিয়নের ইছালি গ্রামে।ভাবির মেয়ে হওয়ার খবর পেয়ে,গেলাম ভাইঝি দেখতে।আসার সময়,ভ্যান চালকের সাথে ঠাট্টাচ্ছলে বললাম,ভাল মেয়ে আছে,বিয়া করুম।ভ্যানওয়ালাতো আনন্দে টাস্কি খাওয়ার অবস্থা।সিদ্ধান্ত হল,যেদিন আমরা ভাই-বোন সবাই মিলে আমার ভাইঝি কে নিতে আসব,সেদিন সে আমাদেরকে মেয়ে দেখাতে নিয়ে যাবে।নির্ধারিত দিনে আমরা সবাই হাজির।মেয়ে দেখলাম,নাইনে পড়ে,কিন্তু সুন্দর।সবার পছন্দ হল,বিয়ে হয়ে যাবে।আমার বেশি পছন্দ হল,তাদের বাড়ির আশ-পাশ।সন্ধায় চান্দি রাতে বউরে সাথে কইরা বিড়ি খাওনের সুন্দর জায়গা আছে।কিন্তু কপালে না থাকলে কিছুই হয়না।হঠাৎ আমার মনে প্রশ্ন জাগল,মাইয়ার বাবারে তো দেখনের দরকার।দেইখা তো চক্ষু চড়কগাছ।একজন ছ্যামড়া মত লোক মাইয়ার বাবা।ঐ মেয়ে তার প্রথম সন্তান,তাইলে তার বয়ষ কেমন হবে?ইতস্তত করে বড় বোনরে বললাম,এখুনি বিয়ের দরকার নাই,পরে বাড়ি যেয়ে আলোচনা করে,সিদ্ধান্ত নিলে হবে।আমার একথার কারনেই আর আমার ঐখানে বিয়া হইল না।